শিশুকে খাওয়ানোর পদ্ধতি তার বয়স, শারীরিক সক্ষমতা এবং খাবারের ধরন অনুযায়ী নির্ভর করে। সাধারণভাবে, ৬ মাস থেকে ১২ মাস বয়সের মধ্যে শিশুকে চামচ দিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে, কিন্তু ধীরে ধীরে তাকে নিজে নিজে খাওয়ার স্বাধীনতা দেয়া উচিত।
চামচ দিয়ে খাওয়ানোর সুবিধা
- নিয়ন্ত্রণ: প্রথমে শিশুর খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয় এবং বেশি নোংরা হয় না।
- পুষ্টির নিশ্চয়তা: শিশুর পরিমাণমতো খাওয়া নিশ্চিত করা যায়।
- গ্যাগ রিফ্লেক্স: শিশুর গ্যাগ রিফ্লেক্স থাকে, তাই চামচ দিয়ে খাওয়ালে খাবার সহজে গিলে ফেলার অভ্যাস গড়ে ওঠে।
শিশু নিজে খেলে যে সুবিধা
- স্বাধীনতা এবং আত্মবিশ্বাস: নিজে নিজে খাওয়া শুরু করলে শিশু স্বাবলম্বী হতে শেখে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
- ফাইন মোটর স্কিল উন্নয়ন: আঙুল দিয়ে খাবার ধরার মাধ্যমে শিশুর ফাইন মোটর স্কিল বিকশিত হয়।
- বিভিন্ন টেক্সচার শেখা: খাবারের টেক্সচার ও স্বাদ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করে, যা ভবিষ্যতে নতুন খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ায়।
কোন বয়সে কীভাবে খাওয়ানো উচিত
- ৬-৮ মাস: এই সময় চামচ দিয়ে খাওয়ানো উত্তম, তবে নরম বা আঙুল-খাবার (যেমন: সিদ্ধ গাজর, কলা) দিলে নিজে নিজে হাতে নিয়ে চেষ্টা করতে দিন।
- ৮-১২ মাস: কিছু খাবার চামচ দিয়ে দিন, আবার কিছু খাবার তাকে নিজে হাতে খেতে দিন।
- ১২ মাসের পর: শিশুর হাতে ছোট চামচ দিয়ে ধীরে ধীরে নিজে নিজে খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করুন এবং নরম খাবারগুলো ধরার সুযোগ দিন।
পরামর্শ
- নিরাপত্তা: ছোট খাবার দিলে নজর রাখুন যাতে শ্বাসকষ্ট বা চোকিং না হয়।
- সহনশীলতা: শিশু নোংরা করবে, সময় নেবে—এটা শেখার অংশ। ধৈর্য ধরে সহনশীল থাকুন।
- বিভিন্ন পদ্ধতি: চামচ এবং হাতে খাওয়ার মাধ্যমে শিশুর বিভিন্ন খাবারের প্রতি আগ্রহ ও গ্রহণক্ষমতা বাড়ে।
শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে উভয় পদ্ধতিরই ভূমিকা রয়েছে, তাই এই দুই পদ্ধতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা সর্বোত্তম।