শিশুর সুস্বাস্থ্য: মা-বাবার দায়িত্ব ও যত্ন

শিশুর সুস্বাস্থ্য মা-বাবার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং দায়িত্ব। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সঠিক পুষ্টি, নিয়মিত ঘুম, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং মানসিক সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নিবন্ধে শিশুদের সুস্থতার বিষয়টি মাথায় রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো।

১. সুষম পুষ্টির যত্ন

শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সঠিক পুষ্টির কোনো বিকল্প নেই। জন্মের পর প্রথম ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ শিশুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এর পরে শিশুর খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার যোগ করা জরুরি। শিশুর খাবারে শর্করা, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজের মতো উপাদানগুলো থাকলে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি সঠিকভাবে হয়।

২. নিয়মিত ঘুমের গুরুত্ব

শিশুরা যাতে পর্যাপ্ত ঘুম পায়, সেটিও মা-বাবার জন্য খেয়াল রাখা প্রয়োজন। নিয়মিত ঘুম শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ও স্মৃতিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর বয়স অনুযায়ী সঠিক ঘুমের সময় নির্ধারণ করা উচিত এবং প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলতে চেষ্টা করতে হবে।

৩. স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি

শিশুর আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত জরুরি। শিশুদের অনাক্রম্যতা দুর্বল হওয়ায় তারা সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই শিশুর ঘর-বাড়ি এবং খেলনা পরিষ্কার রাখা, ধূলা ও দূষণ থেকে দূরে রাখা এবং পরিচ্ছন্ন পানীয় সরবরাহ করা দরকার।

৪. মানসিক বিকাশের যত্ন

শিশুরা তাদের আশেপাশের পরিবেশ থেকে অনেক কিছু শেখে এবং অনুভব করে। মা-বাবা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শিশুর যোগাযোগ শিশুর মানসিক বিকাশে বড় ভূমিকা রাখে। শিশুদের কাছে ইতিবাচক মনোভাব, সময়মতো প্রশংসা, এবং নির্ভীক অনুভূতি প্রদান করলে তারা মানসিকভাবে সুরক্ষিত বোধ করে এবং আত্মবিশ্বাসী হয়।

৫. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

শিশুদের সঠিক বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে নিশ্চিত হতে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় টিকা সময়মতো প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার প্রাথমিক পর্যায়ে সমাধান করা সম্ভব।

মা-বাবার যত্ন ও সচেতনতা শিশুর সুস্বাস্থ্যের ভিত্তি গড়ে দেয়। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের প্রতিটি স্তরে তাদের পাশে থেকে যত্নশীল ভূমিকা পালন করা শিশুর ভবিষ্যতের জন্য এক মূল্যবান উপহার।

আরও থাকছে…