নবজাতক ও ছোট শিশুদের সঠিক পরিমাণে খাওয়ানোর বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই বয়সে শিশুরা দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং তাদের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা খুবই বেশি। তাদের প্রথম ছয় মাসেই ওজন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ানো খুব জরুরি।
শিশুর খিদে ও খাওয়ার সংখ্যা: প্রথম ছয় মাসে নবজাতককে দিনে ৮ থেকে ১২ বার খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। শিশুরা ক্ষুধার ইঙ্গিত দেয় যেমন: কান্না করা, মুখে হাত দেওয়া, বা স্তনের দিকে মাথা ঘোরানো। এসব লক্ষণ দেখা মাত্রই তাদের খাওয়ানো উচিত। প্রতিবার খাওয়ানোর পর নবজাতকের পেট ভালোভাবে ভরল কি না তা বুঝে নেওয়াও জরুরি।
কেন বেশি খাওয়ানো দরকার? নবজাতকরা দ্রুত ওজন বাড়ায় এবং শারীরিক বৃদ্ধি ছাড়াও তাদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রও দ্রুত বিকাশ লাভ করে। এজন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় মা-বাবারা উদ্বিগ্ন হতে পারেন যে শিশুটি হয়তো অতিরিক্ত খেয়ে ফেলছে। তবে মনে রাখতে হবে, শিশুরা সাধারণত তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী খায়, এবং দুধের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চিন্তিত না হওয়াই ভালো।
প্রথম ছয় মাসে খাদ্যের গুরুত্ব: শিশুর জন্মের প্রথম ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের দুধই সবচেয়ে ভালো পুষ্টির উৎস। এই সময় অন্যান্য কোনো খাবারের প্রয়োজন হয় না। মায়ের দুধে সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে যা শিশুর ওজন বৃদ্ধি ও সামগ্রিক বিকাশে সাহায্য করে। পাশাপাশি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
খাওয়ানোর পরামর্শ:
- নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন: শিশুর ওজন ঠিকমতো বাড়ছে কি না তা নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
- ক্ষুধার লক্ষণ বুঝুন: শিশুর ক্ষুধার ইঙ্গিতগুলো বুঝে তা অনুযায়ী তাকে খাওয়ান।
- বেশি খেতে দিলে ভয় পাবেন না: শিশুকে বেশি বেশি খাওয়ানো উচিত, কারণ তাদের দ্রুত বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে।
উপসংহার:
নবজাতক ও ছোট শিশুদের সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করা তাদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ এবং ক্ষুধার লক্ষণগুলো বুঝে নিয়ে নিয়মিত খাওয়ানো উচিত, যেন তারা প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়।