নবজাতক ও ছোট শিশুদের খাবারের পরিমাণ নির্ভর করে তাদের বয়স, স্বাস্থ্য এবং ক্ষুধার উপর। বয়স অনুযায়ী শিশুদের খাবারের চাহিদা ও খাওয়ার ধরণ ভিন্ন হতে পারে।
নবজাতক (০-৬ মাস)
- কেবলমাত্র বুকের দুধ বা ফর্মুলা: এই সময়ে নবজাতকের জন্য বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধই যথেষ্ট। বুকের দুধে প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান থাকে যা শিশুর জন্য আদর্শ।
- খাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি: নবজাতকের ক্ষেত্রে প্রতি ২-৩ ঘণ্টা পরপর খাওয়ানো উচিত, অর্থাৎ দিনে ৮-১২ বার।
- পরিমাণ: প্রথম কয়েক দিন নবজাতক প্রতিবার খাওয়াতে প্রায় ১৫-৩০ মিলিলিটার দুধ খায়। এক সপ্তাহ পর থেকে প্রতিবারে ৬০-৯০ মিলিলিটার এবং এক মাস বয়সের পর প্রতিবারে ১২০-১৫০ মিলিলিটার খেতে পারে।
৬-১২ মাস বয়সের শিশু
- মিশ্র খাবারের পরিচয়: ৬ মাস থেকে বুকের দুধ বা ফর্মুলার পাশাপাশি শক্ত খাবার শুরু করা যায়।
- খাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি: দিনে ৩-৪ বার শক্ত খাবার এবং প্রয়োজন মতো বুকের দুধ বা ফর্মুলা চালিয়ে যান।
- পরিমাণ: শুরুতে ১-২ চামচ করে খাওয়ান এবং ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়িয়ে ২-৩ চামচ করে দিন। এই বয়সে একবারের খাবারের পরিমাণ প্রায় ১/৪ কাপ থেকে শুরু করে বাড়িয়ে ১/২ কাপ পর্যন্ত যেতে পারে।
১২ মাসের বেশি বয়সের শিশু
- সাধারণ খাবারের অভ্যাস: ১২ মাস পর শিশুরা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে মিলে তিন বেলা খাবার এবং ১-২ বার হালকা স্ন্যাকস খেতে পারে।
- পরিমাণ: একবারে প্রায় ১/২ কাপ থেকে ৩/৪ কাপ খাবার দেয়া যেতে পারে, তবে শিশু বেশি খেতে চাইলে তার ক্ষুধার পরিমাণ অনুযায়ী দেওয়া যায়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- ক্ষুধার ইঙ্গিত দেখুন: শিশু ক্ষুধার্ত হলে কান্না করবে, চুষার মতো অঙ্গভঙ্গি করবে বা আপনার দিকে তাকিয়ে খাবার চাওয়ার ইঙ্গিত দেবে।
- নির্দিষ্ট পরিমাণে না বেঁধে শিশুর ক্ষুধা ও প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে খাবার দিন।
- ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান: শিশু নতুন খাবার খেতে অভ্যস্ত হলে ধীরে ধীরে পরিমাণ এবং টেক্সচার পরিবর্তন করুন।
শিশুর খাওয়ার সময় তার চাহিদা এবং প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে খাবারের পরিমাণ নির্ধারণ করা সবচেয়ে ভালো।