গর্ভাবস্থায় আপনার দ্বিতীয় তিনমাসের নির্দেশিকা

যে শিশুরা সকালের নাস্তা বাদ দেয় তারা অপুষ্টির ঝুঁকিতে পড়ে।

—–

শিশুকে সব সময় সবুজ শাক-সবজি খেতে দিন। শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদেরও সুস্থতার জন্য সবুজ শাক অপরিহার্য

 

—–

শিশু সুরক্ষা

যাদের দ্বারা শিশুরা সুরক্ষিত ও নিরাপদ থাকার কথা, তাদের হাতেই বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ শিশু প্রতিনিয়ত সহিংসতা, ভৎসনা এবং শোষণের শিকার হয়। প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জন শিশুই তাদের বাবা-মা এবং শিক্ষক সহ সেবাদানকারীদের দ্বারা শারীরিক শাস্তি বা মানসিক আগ্রাসনের শিকার হয়।

বাংলাদেশে অনেক শিশুই সময়ের আগেই বড় হয়ে যেতে বাধ্য হয়। নিজেদের পরিবারের বেঁচে থাকার কৌশলের অংশ হিসেবে অনেক কিশোর-কিশোরীকে প্রায়ই কাজে পাঠানো হয় বা তাদের অপরিণত বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। পাঁচ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় সাত শতাংশ শিশু কোনো না কোনো ধরনের শিশুশ্রমে জড়িত। এছাড়াও খুব অল্পবয়সী শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিযুক্ত করা অব্যাহত রয়েছে।

বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আইন থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। বাইশ থেকে ২৪ বছর বয়সী বাংলাদেশি নারীর অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যকের (৫১ শতাংশ) তাদের ১৮তম জন্মদিনের আগেই বিয়ে হয়ে যায়।

বাল্যবিবাহ এবং অল্প বয়সে গর্ভাধারণ মেয়েদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য গুরুতর সমস্যা এবং এটি তাদের স্বাস্থের ক্ষেত্রে আজীবন নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেসব মেয়েদের বাল্যকালে বিয়ে হয়, তাদের স্কুল থেকে ঝরে পড়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। তারা অপুষ্টিতে ভোগে, গর্ভাবস্থায় ও প্রসবকালীন জটিলতার কারণে অনেকেই অকালে মারা যায় এবং পরিণত বয়সে বিয়ে করা মেয়েদের তুলনায় বাড়িতেও তাদের বেশি সহিংসতার সম্মুখিন হতে হয়।

লাখ লাখ শিশুর মাথার ওপর ছাদ নেই।তারা রাস্তায় বসবাস করে ও শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। শিশুদের আরেকটি অংশ প্রতিবন্ধীত্বের শিকার। এসব শিশুরা অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত এবং বৈষম্য, সামাজিক কলঙ্ক ও বিচ্ছিন্নতার সম্মুখীন হয়।

শিশু অধিকারের সংগ্রাম জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয়। বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে মাত্র ৫৬ শতাংশ জন্মের সময় নিবন্ধিত হয়। এর অর্থ লক্ষ লক্ষ শিশু একটি পরিচয়ের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ন্যায়বিচার পাওয়া তাদের আরেকটি চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশে ১০২টি শিশু আদালত থাকা সত্ত্বেও কিশোর-কিশোরীদের জন্য যে বিচার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে ২৩ হাজারেরও বেশি মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।

—–

খাবারের পুষ্টিগুণ 

দুধের পুষ্টিগুণ || Nuts || Newly  Gro

 —-

ডালের পুষ্টিগুণ || Dal|| Newly Grow

——

𢖕াজু বাদামের পুষ্টিগুণ || Nuts || Newly Grow

—–

আপনার তৃতীয় তিনমাসের নির্দেশিকা

আপনার গর্ভাবস্থার ২৯ সপ্তাহ থেকে ৪০ সপ্তাহের জন্য পরামর্শ

অভিনন্দন, আপনি প্রায় বাড়ির দোঁড়গোড়ায় পৌঁছে গেছেন! আপনি শীঘ্রই আপনার পরিবারে একজন সুন্দর নতুন সদস্যকে স্বাগত জানাবেন। এই শেষ সপ্তাহগুলোতে আপনি আরও ক্লান্ত এবং অস্বস্তি বোধ করছেন, তবে আপনার জন্য সামনে তাকানোর অনেক কিছুই রয়েছে!

আপনি কেমন বোধ করছেন

দ্বিতীয় তিনমাসের সময় আপনি যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, ঠিক একই রকম সমস্যা তৃতীয় তিনমাসেও অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও, অনেক সন্তান-সম্ভবা মায়ের শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় এবং তাদের আরও বেশি বাথরুমে যেতে হয়। কারণ আপনার সন্তান বড় হচ্ছে এবং আপনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোতে সে আরও চাপ দিচ্ছে। এতে করে উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। আপনার সন্তান ভাল আছে এবং এই সমস্যাগুলো আপনার সন্তানের জন্মের পরে কমে যাবে। 

সাধারণ লক্ষণসমূহ 

যদিও দুটি গর্ভাবস্থা একরকম হয় না, তবে তৃতীয় তিনমাসের সময় আপনি কিছু লক্ষণ অনুভব করতে পারেন। লক্ষণগুলো নিম্নরূপ:

বুকজ্বালা

রক্তক্ষরণ

শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা

স্তন নরম হয়ে যাওয়া

নাভি ছড়িয়ে যাওয়া

ঘুমের সমস্যা

আঙ্গুল, মুখ এবং গোড়ালি ফুলে ওঠা 

নিজের যত্ন

আপনার সন্তানটি যেহেতু পরিপূণ© মেয়াদে পৌঁছেছে, সে কারনে দ্বিতীয় তিনমাসের তুলনায় তৃতীয় তিনমাসে আপনি বেশি অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। এসব অস্বস্তিগুলো সামলাতে প্রথমে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করে নিচের কয়েকটি পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে। মনে রাখবেন, অগ্রাধিকার এবং হাতের কাছে সহজলভ্য যে জিনিসগুলো রয়েছে আপনার সিদ্ধান্ত সবসময় তার ভিত্তিতে নেয়া উচিত।

বুকজ্বালার ক্ষেত্রে খাদ্যাভাস এবং জীবন চর্চায় পরিবর্তন সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জিজ্ঞাসা করুন। এগুলোর ফলে যদি কোনো উপকার না হয়, কষ্টদায়ক লক্ষণগুলোর জন্য অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

ঘুমের সমস্যার ক্ষেত্রে আপনার পুরো শরীরকে বা বিশ্রাম নেওয়ার সময় উত্তেজনা কমাতে সহায়তা করে কেবল এমন নির্দিষ্ট জায়গার জন্য বালিশ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

তৃতীয় তিনমাস এমনকি গর্ভাবস্থার পুরো সময়টাতেই স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনের রুটিন বজায় রাখুন। তবে নিজেকে কখনোই ক্লান্ত করবেন না। একটি সাধারণ নিয়ম হিসাবে, কাজ করার সময় কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা আপনার থাকা উচিত। গর্ভাবস্থায় শারীরিক অনুশীলন সম্পর্কে সবসময় আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করুন। পর্যাপ্ত শক্তি, আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ জাতীয় খাদ্য নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরণের খাবার খাওয়া উচিত। 

ব্র্যাক্সটন হিক্স (মিথ্যা প্রসব বেদনা)

তৃতীয় তিনমাসের সময় কখনো কখনো ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এই ব্যথা সত্য বা মিথ্যা প্রসবের লক্ষণ হতে পারে। “মিথ্যা প্রসব” ব্যথাকে ব্র্যাকটন হিক্স বলা হয় এবং এটি আপনার শরীরকে আসল প্রসবের জন্য প্রস্তুত করার একটি উপায়। এতে তাদের ঋতুস্রাব বা পেট শক্ত হওয়ার মতো অনুরূপ অনুভূতি হতে পারে।

ব্র্যাকটন হিক্সের কোনও চিকিৎসা নাই। তবে অস্বস্তি কমানোর জন্য আপনি কিছু জিনিস করতে পারেন। এগুলো নিম্নরূপ:

পানি পান করা

আপনার শারীরিক অবস্থান পরিবর্তন করা (যদি আপনি শুয়ে থাকেন তবে হাঁটার চেষ্টা করুন এবং এর বিপরীতটাও করুন)

একটু ঘুমিয়ে নিয়ে, একটি বই পড়ে বা শান্ত সংগীত শুনে স্বস্তি বোধ করা।

এগুলোর পরেও যদি ব্যথা না কমে এবং আপনি যদি আরও ঘন ঘন বা তীব্র ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করুন।

প্রসবের জন্য যাওয়া 

বেশিরভাগ মায়েরা গর্ভাবস্থার ৩৮ থেকে ৪১ সপ্তাহের মধ্যে সন্তান জন্ম দেয়। তবে আপনি কখন সন্তান প্রসব করবেন তার একেবারে সঠিক সময়টি জানার কোনও উপায় নেই। 

যখন ব্যথা শুরু হয়, জরায়ু প্রসারিত হতে থাকে ও জরায়ুর পেশী নিয়মিত বিরতিতে সংকোচন হতে শুরু করে এবং সময়ের সাথে সাথে এরা আরও কাছাকাছি আসে। সংকোচনের কারণে ঋতুস্রাবের মতো বোধ হয়। তবে এটি আরও তীব্র হয়। আপনার জরায়ু যেহেতু সংকুচিত হয়, আপনি আপনার পিঠে বা শ্রোণীতে ব্যথা অনুভব করতে পারেন এবং আপনার পেট শক্ত হয়ে যেতে পারে। জরায়ু প্রসারিত হয়ে গেলে আপনার পেট আবার নরম হয়ে যাবে।

সংকোচনের পাশাপাশি ব্যথা শুরু হওয়ার আরও কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে। এগুলো নিম্নরূপ:

হাল্কাবোধ করা (আপনার ভ্রূণ ক্রমেই নিচের দিকে নামছে এমন অনুভূতি)

শ্লেষ্মা গ্লআপনার তৃতীয় তিনমাসের নির্দেশিকা

আপনার গর্ভাবস্থার ২৯ সপ্তাহ থেকে ৪০ সপ্তাহের জন্য পরামর্শ

অভিনন্দন, আপনি প্রায় বাড়ির দোঁড়গোড়ায় পৌঁছে গেছেন! আপনি শীঘ্রই আপনার পরিবারে একজন সুন্দর নতুন সদস্যকে স্বাগত জানাবেন। এই শেষ সপ্তাহগুলোতে আপনি আরও ক্লান্ত এবং অস্বস্তি বোধ করছেন, তবে আপনার জন্য সামনে তাকানোর অনেক কিছুই রয়েছে!

আপনি কেমন বোধ করছেন

দ্বিতীয় তিনমাসের সময় আপনি যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, ঠিক একই রকম সমস্যা তৃতীয় তিনমাসেও অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও, অনেক সন্তান-সম্ভবা মায়ের শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় এবং তাদের আরও বেশি বাথরুমে যেতে হয়। কারণ আপনার সন্তান বড় হচ্ছে এবং আপনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোতে সে আরও চাপ দিচ্ছে। এতে করে উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। আপনার সন্তান ভাল আছে এবং এই সমস্যাগুলো আপনার সন্তানের জন্মের পরে কমে যাবে। 

সাধারণ লক্ষণসমূহ 

যদিও দুটি গর্ভাবস্থা একরকম হয় না, তবে তৃতীয় তিনমাসের সময় আপনি কিছু লক্ষণ অনুভব করতে পারেন। লক্ষণগুলো নিম্নরূপ:

বুকজ্বালা

রক্তক্ষরণ

শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা

স্তন নরম হয়ে যাওয়া

নাভি ছড়িয়ে যাওয়া

ঘুমের সমস্যা

আঙ্গুল, মুখ এবং গোড়ালি ফুলে ওঠা 

নিজের যত্ন

আপনার সন্তানটি যেহেতু পরিপূণ© মেয়াদে পৌঁছেছে, সে কারনে দ্বিতীয় তিনমাসের তুলনায় তৃতীয় তিনমাসে আপনি বেশি অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। এসব অস্বস্তিগুলো সামলাতে প্রথমে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করে নিচের কয়েকটি পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে। মনে রাখবেন, অগ্রাধিকার এবং হাতের কাছে সহজলভ্য যে জিনিসগুলো রয়েছে আপনার সিদ্ধান্ত সবসময় তার ভিত্তিতে নেয়া উচিত।

বুকজ্বালার ক্ষেত্রে খাদ্যাভাস এবং জীবন চর্চায় পরিবর্তন সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জিজ্ঞাসা করুন। এগুলোর ফলে যদি কোনো উপকার না হয়, কষ্টদায়ক লক্ষণগুলোর জন্য অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।

ঘুমের সমস্যার ক্ষেত্রে আপনার পুরো শরীরকে বা বিশ্রাম নেওয়ার সময় উত্তেজনা কমাতে সহায়তা করে কেবল এমন নির্দিষ্ট জায়গার জন্য বালিশ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

তৃতীয় তিনমাস এমনকি গর্ভাবস্থার পুরো সময়টাতেই স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনের রুটিন বজায় রাখুন। তবে নিজেকে কখনোই ক্লান্ত করবেন না। একটি সাধারণ নিয়ম হিসাবে, কাজ করার সময় কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা আপনার থাকা উচিত। গর্ভাবস্থায় শারীরিক অনুশীলন সম্পর্কে সবসময় আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করুন। পর্যাপ্ত শক্তি, আমিষ, ভিটামিন এবং খনিজ জাতীয় খাদ্য নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরণের খাবার খাওয়া উচিত। 

ব্র্যাক্সটন হিক্স (মিথ্যা প্রসব বেদনা)

তৃতীয় তিনমাসের সময় কখনো কখনো ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এই ব্যথা সত্য বা মিথ্যা প্রসবের লক্ষণ হতে পারে। “মিথ্যা প্রসব” ব্যথাকে ব্র্যাকটন হিক্স বলা হয় এবং এটি আপনার শরীরকে আসল প্রসবের জন্য প্রস্তুত করার একটি উপায়। এতে তাদের ঋতুস্রাব বা পেট শক্ত হওয়ার মতো অনুরূপ অনুভূতি হতে পারে।

ব্র্যাকটন হিক্সের কোনও চিকিৎসা নাই। তবে অস্বস্তি কমানোর জন্য আপনি কিছু জিনিস করতে পারেন। এগুলো নিম্নরূপ:

পানি পান করা

আপনার শারীরিক অবস্থান পরিবর্তন করা (যদি আপনি শুয়ে থাকেন তবে হাঁটার চেষ্টা করুন এবং এর বিপরীতটাও করুন)

একটু ঘুমিয়ে নিয়ে, একটি বই পড়ে বা শান্ত সংগীত শুনে স্বস্তি বোধ করা।

এগুলোর পরেও যদি ব্যথা না কমে এবং আপনি যদি আরও ঘন ঘন বা তীব্র ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করুন।

প্রসবের জন্য যাওয়া 

বেশিরভাগ মায়েরা গর্ভাবস্থার ৩৮ থেকে ৪১ সপ্তাহের মধ্যে সন্তান জন্ম দেয়। তবে আপনি কখন সন্তান প্রসব করবেন তার একেবারে সঠিক সময়টি জানার কোনও উপায় নেই। 

যখন ব্যথা শুরু হয়, জরায়ু প্রসারিত হতে থাকে ও জরায়ুর পেশী নিয়মিত বিরতিতে সংকোচন হতে শুরু করে এবং সময়ের সাথে সাথে এরা আরও কাছাকাছি আসে। সংকোচনের কারণে ঋতুস্রাবের মতো বোধ হয়। তবে এটি আরও তীব্র হয়। আপনার জরায়ু যেহেতু সংকুচিত হয়, আপনি আপনার পিঠে বা শ্রোণীতে ব্যথা অনুভব করতে পারেন এবং আপনার পেট শক্ত হয়ে যেতে পারে। জরায়ু প্রসারিত হয়ে গেলে আপনার পেট আবার নরম হয়ে যাবে।

সংকোচনের পাশাপাশি ব্যথা শুরু হওয়ার আরও কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে। এগুলো নিম্নরূপ:

হাল্কাবোধ করা (আপনার ভ্রূণ ক্রমেই নিচের দিকে নামছে এমন অনুভূতি)

শ্লেষ্মা গ্লাগের ক্ষতি (আপনি গোলাপী স্রাবের বৃদ্ধি লক্ষ্য করবেন)

পানি ভাঙ্গা (ঝিল্লি ফেটে যাওয়া।

এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রসব ব্যথা শুরুর আগে এই পরিবর্তনগুলোর কয়েকটি আপনি লক্ষ্য নাও করতে পারেন। আপনি যদি মনে করেন যে, আপনার প্রসব হবে তবে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করুন। 

আপনার সন্তানের বৃদ্ধি ঘটছে কীভাবে

বিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে আপনার সন্তান গর্ভাশয় ছাড়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তৃতীয় তিনমাস এবং জন্মের শুরুর মাঝখানে যে জিনিসগুলো হয় সেগুলো নিম্নরূপ:

চোখ আলোর পরিবর্তন বুঝতে পারে

মাথায় কিছু চুল গজাতে পারে

লাথি মারতে, ধরতে ও শরীর প্রসারিত করতে পারে

অঙ্গগুলো পুষ্ট ও গোলাকার হতে শুরু করে

হাড় শক্ত হতে শুরু করে

সংবহনতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে গঠিত হয়

পেশীগুলো সম্পূর্ণভাবে গঠিত হয়

ফুসফুস, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ ঘটে

অবিরতভাবে চর্বি যুক্ত হতে থাকে।

ভ্রূণের বৃদ্ধি বিভিন্ন কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে তৃতীয় তিনমাসের শুরুতে আপনার সন্তান প্রায় ৩৫ সেন্টিমিটার (১৪ ইঞ্চি) লম্বা হয় এবং তার ওজন প্রায় ১ থেকে ২ কেজি (২ থেকে ৪ পাউন্ড) হয়। যখন আপনি প্রসব করবেন, আপনার নবজাতক প্রায় ৪৬ থেকে ৫১ সেন্টিমিটার লম্বা হবে (১৮ থেকে ২০ ইঞ্চি) এবং তার ওজন ৩ কেজির বেশি হবে (৭ পাউন্ড) [ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক থেকে প্রাপ্ত তথ্য]। আপনার নিজ দেশের তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে আপনার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিন।

স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে আমার কখন দেখা করা উচিত?

আপনার তৃতীয় তিনমাসের সময়, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে আপনার ৫ বার সাক্ষাৎ করা উচিত। এগুলো ৩০ সপ্তাহে, ৩৪ সপ্তাহে, ৩৬ সপ্তাহে, ৩৮ সপ্তাহে এবং ৪০ সপ্তাহে। আপনার নিজ দেশের পরামর্শের জন্য, অনুগ্রহ করে আপনার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিন।

যেসব বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে 

যেহেতু প্রত্যেক নারীর গর্ভাবস্থার অভিজ্ঞতা ভিন্ন, সেহেতু নিচের অভিজ্ঞতাগুলোর সামনাসামনি হলে আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে কথা বলতে হবে:

ভারি রক্তক্ষরণ

মাথাব্যথার পাশাপাশি দাগ বা ফ্ল্যাশিং লাইট যা যায়না

হঠাৎ বা মারাত্মক ফোলাভাব

ভ্রূণের নড়াচড়া হ্রাস পাওয়া (আপনার সন্তানের প্রতিদিন নড়াচড়া করা উচিত)

আপনার পানি ভেঙে গেছে এবং আপনার ব্যথার সমস্যা নেই

সংকোচনের মধ্যে ক্রমাগত ব্যথা

আরও থাকছে…

গর্ভাবস্থায় আপনার ছোট্ট শিশুর সাথে একসাথে বেড়ে ওঠার জন্য ৪০ সপ্তাহের নির্দেশিকা।

গর্ভাবস্থায় আপনার ছোট্ট শিশুর সাথে একসাথে বেড়ে ওঠার জন্য ৪০ সপ্তাহের নির্দেশিকা।

গর্ভাবস্থার ৪০ সপ্তাহ প্রতিটি মা ও তার অনাগত সন্তানের জন্য বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত শিশুর...